প্রকাশিত: Wed, Nov 8, 2023 12:05 AM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 8:44 AM

[১]মূল্যস্ফীতি ও বিনিময় হার ঠিক হয়ে জুনের মধ্যে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি: গভর্নর

সালেহ্ বিপ্লব: [২] বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামবে। জুনের মধ্যে তা নেমে আসবে সাড়ে ৬ শতাংশে। বিনিময় হারও এর মধ্যে ঠিক হয়ে আসবে। সেটির ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। 

[৩] গভর্নর বলেন, টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে, ব্যাংকের সুদের হারও বাড়ছে। বাজারে টাকার সরবরাহ কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। 

[৪] তবে তিনি অর্থনীতিবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির প্রভাব নিয়ে চিন্তিত। তার মতে, অর্থনীতির কারণের পাশাপাশি অর্থনীতিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডও মূল্যস্ফীতি বাড়ায়। মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি দিয়ে এটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

[৫] সোমবার অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে এসব কথা বলেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বাংলাদেশ ব্যাংকে তিন ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

[৬] বৈঠকে গভর্নর অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি ও বিনিময় হার নিয়ে সমস্যা আছে। পাশাপাশি আর্থিক হিসাবে ঘাটতি এখন সমস্যা। তবে এসব সমস্যা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। কঠিন সময় পার করে এসেছি। 

[৭] বৈঠকে অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ ও চার ডেপুটি গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইআরএফের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

[৮] বৈঠকে অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার জানান, বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণ ও সরকারি কর্মচারীদের বিদেশে প্রশিক্ষণ বন্ধ করা হয়েছে।

[৯] বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সাংবাদিক বলেন, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। আবার একটি গোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে উল্লেখসংখ্যক ব্যাংক। আবার ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে ফেরত পাচ্ছেন না আমানতকারীরা। এতে আর্থিক খাতের ওপর মানুষের একধরনের অনাস্থা তৈরি হয়েছে।

[১০] এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, একটি গোষ্ঠীর হাতে কতগুলো ব্যাংক থাকবে, আইনে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো বিধান নেই। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আইনে নতুন বিধান যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না